অনির্দিষ্টকালের জন্য আজ শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে সব ধরনের গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহন চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে পণ্য পরিবহন ও গণপরিবহন মালিক সমিতি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় লঞ্চের ভাড়া দ্বিগুণ করার দাবি জানিয়েছে মালিক সমিতি। এ জন্য তারা একটি প্রস্তাবনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে। প্রস্তাবে রাজি না হলে আগামীকাল শনিবার কর্মসূচি ঘোষণা করবে লঞ্চ মালিক সমিতি।
লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, সরকার তেলের দাম বাড়ানোর কারণে লঞ্চ ভাড়াও শতভাগ বাড়াতে হবে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য সরকারকে আগামীকাল শনিবার দুপুর পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে করে তাদের পক্ষে লঞ্চ পরিচালনা করা সম্ভব হবে না। আজ শুক্রবার (৫ নভেম্বর) বিকেল সারা দেশের লঞ্চ মালিকদের সমন্বয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, জ্বালালি তেলের দাম বেড়েছে ২৩ শতাংশ। স্টিলের দাম বেড়েছে ২০-২৫ শতাংশ। এই সব কিছু মিলিয়ে আমরা শতভাগ বৃদ্ধির প্রস্তাব করব। এখনি লিখিত প্রস্তাব পাঠাবো। ‘আশাকরি আগামীকাল দুপুরের মধ্যে সরকার কর্তৃক আমাদের এ প্রস্তাবনা মেনে নেয়া হবে,’ বলছিলেন মাহবুব উদ্দিন আহমেদ।
এর আগে বুধবার (৩ নভেম্বর) রাতে জ্বালানি তেলের দাম ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়তে থাকায় লোকসান কমাতে দেশের বাজারেও এই জ্বালানির তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য ক্রমবর্ধমান। এ ঊর্ধ্বগতির কারণে পার্শ্ববর্তীসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ জ্বালানি তেলের মূল্য নিয়মিত সমন্বয় করছে। গত ১ নভেম্বর ভারতে ডিজেলের মূল্য ছিল প্রতি লিটারে ১২৪.৪১ টাকা বা ১০১.৫৬ রুপি। অথচ বাংলাদেশে ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটারে ৬৫ টাকা অর্থাৎ লিটার প্রতি ৫৯.৪১ টাকা কম। তাই লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে, দেশে সবশেষ ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল গেজেটের মাধ্যমে পেট্টোলিয়াম পণ্যের মূল্য কমিয়ে পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছিল।